চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ২৯ টি ইউনিট। কনটেইনার ডিপোতে বার বার বিস্ফোরণের কারণে আগুন নেভাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসকে।
আগুন কিছুটা নিভে আসার পর পুনরায় কনটেইনার ডিপোর ভেতরে নতুন করে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এ কারণে রাত ৯টা থেকে এখনও আগুন নেভাতে কাজ করে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস। একটানা কাজ করতে গিয়ে পানির সংকটেও ভুগতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসকে।
এই অবস্থায় চট্টগ্রামের আশপাশের জেলা থেকেও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আনা হয়। আগুন নেভাতে গিয়ে রাত ১১টার দিকে বিস্ফোরণে সমগ্র এলাকা কেঁপে ওঠে। এ সময় ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও পুলিশও হতাহত হয়। ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আনিসুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে।
বার বার বিস্ফোরণের কারণে আগুন নেভাতে সমস্যা হচ্ছে। আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। তবে আমাদের কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছে। পানির পাশাপাশি কেমিক্যালের আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য যা করা দরকার তাও করা হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের ৩ সদস্যসহ অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ ও আহতদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ জন পুলিশ সদস্য ও ৫৩ জন ব্যক্তিকে ভর্তি করা হয়েছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক শাহজাহান শিকদার গণমাধ্যমকে জানান, বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিসের কাছে রাত ৯টা ২৫ মিনিটে আগুনের খবর পাওয়া যায়।
প্রথমে সেখানে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট যায়। রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করছে। তাদের সঙ্গে পুলিশ ও স্থানীয়রা সহায়তা করছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।